রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ, ১৪৩১
কাঠালিয়া (ঝালকাঠি) প্রতিনিধি।।
ঝালকাঠির কাঠালিয়া উপজেলার শৌলজালিয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ কচুয়া পঞ্চানন্দ এলাকায় বিষখালী নদীর চর থেকে মনির হোসেন(২২) নামের যুবকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। নিহত যুবক মনির হোসেন ওই এলাকার দিনমজুর শাহ আলম জোমাদ্দারের ছেলে। সোমবার (২৬ অক্টোবর) সকালে লাশ ময়না তদন্তের জন্য ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
ঘটনার খবর পেয়ে ঝালকাঠি পুলিশ সুপার ফাতিমা ইয়াসমিন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ হাবিবুল্লাহ, সহকারী পুলিশ সুপার (রাজাপুর-কাঠালিয়া সার্কেল) মোঃ সাখাওয়াত হোসেন, কাঠালিয়া থানা অফিসার ইনচার্জ পুলক চন্দ্র রায়, স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ মাহমুদ হোসেন রিপন ও জেলা পরিষদ সদস্য এস এম আমিরুল ইসলাম লিটন সিকদার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মনিরের মা শাহানাজ বেগম এবং বড় কাঠালিয়া গ্রামের ইয়াকুব গাজীর ছেলে জসিম গাজীকে থানায় নেয়া হয়েছে।
এলাকাবাসী ও স্বজনরা জানায়, রোববার রাত নয় টার দিকে লোকজনের মাধ্যমে খবর পেয়ে কচুয়ার পঞ্চানন্দর বিষখালীর নদীর চরের একটি গাছের নীচে ( উপর করা) অচেতন অবস্থায় পরে থাকা মনিরকে দেখতে পায়। পরে স্বজনরা উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে(আমুয়া) নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ মো. কামরুজ্জামান তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
মনিরের স্ত্রী রোজিনা বেগম কাছে জানতে চাইলে তিনি ক্যামেরার সামনে কোন কথা বলতে রাজি হননি। তবে একটি সূত্র জানায়, গতকাল রোববার (২৫ অক্টোবর) বিকেলে বড় কাঠালিয়া গ্রামের সফিজ উদ্দীনের ছেলে এনায়েত গাজী নামের এক লোক তাদের বাড়ির এসে প্রকাশ্যে মনিরকে দেখিয়ে নেয়ার হুমকী দিয়ে যান।
তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় কয়েক ব্যক্তি জানিয়েছেন, নিহত মনিরের মা শাহনাজ বেগমের সাথে এনায়েত গাজীর পরকীয়া সম্পর্কে পুত্র মনির বাঁধা হওয়ায় পরিকল্পিভাবে মনিরকে হত্যা করে এটাকে আত্মহত্যা নাটক বানানোর চেষ্টা কার হয়েছিল। তাদের দাবি, মনির নিহত হওয়ার আগে এবং পরে তার মা শাহনাজ বেগমের কথাবার্তা-আচারণ এবং আগের দিন এনায়েত গাজীর হুমকীতে তার সম্পৃক্ততা রয়েছেন বলে অনেকেরই ধারণা।
কাঠালিয়া থানা অফিসার ইনচার্জ পুলক চন্দ্র রায় জানান, লাশ ময়না তদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। প্রকৃত ঘটনা উদঘটনের চেষ্টা চলছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মনিরের মা শাহানাজ বেগম এবং বড় কাঠালিয়া গ্রামের ইয়াকুব গাজীর ছেলে জসিম গাজীকে থানায় আনা হয়েছে।